ভিসা রিজেক্ট হওয়ার কিছু কারণ সমূহ
বিদেশ ভ্রমণ বাংলাদেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে, উঠছে। মানুষ এখন শুধু কাজ এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যতেই বিদেশ ভ্রমণ করে না, বরং শখের বশেও অনেকে ভ্রমণ করে থাকেন। এই বিদেশ ভ্রমণের বড় একটা অন্তরায় হল ভিসা রিজেকশন। ভিসা রিজেক্ট হওয়ার কারণগুলো সবসময়ই প্রকাশ করা হয় না, কিন্তু ভিসার পাওয়ার শর্তগুলো প্রায় সব দেশের হাইকমিশনই সুনির্দিষ্ট ফর্মে উল্লেখ করে রাখে। অতএব, ধারণা করা যায় যে, এই শর্তগুলো যদি আপনার দ্বারা সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয়, তাহলে আপনার ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম হবে। অতএব, এই ব্লগে আমরা দেখবো ভিসা রিজেক্ট হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ সমূহ:
ভিসা কি?
সাধারণ ভাবে ভিসাকে একটা দেশের প্রবেশপত্র বলা যায়। এটির সাহয্যে আপনি নির্দিষ্ট দেশে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন।
ভিসা রিজেক্টের কারণ সমূহ:
১. আর্থিক অবস্থার অস্পষ্টতা ও আর্থিক দূরাবস্থা:
যথাযথ আর্থিক লেনদেনের তথ্য না থাকলে, আপনার ভিসা সহজেই রিজেক্ট হতে পারে। সব দেশের হাইকমিশনই ভিসা আবেদনের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্টের পূর্বশর্ত দেয়। এক্ষেত্রে দেশগুলো ব্যাংক ট্রানজেকশনের জন্য তাদের নির্দিষ্ট কিছু মানদন্ড দিয়ে দেয়। যদি ব্যাংক ট্রানজেকশনের পরিমাণ এই নির্দিষ্ট মানদন্ডের অন্তর্ভুক্ত না হয়, তবে ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । ব্যাক্তিগত সম্পদ বা অ্যাসেট, জায়গা-জমি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি ও ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ও বৈবাহিক অবস্থা, বাচ্চা-কাচ্চা আছে কিনা এ সমস্ত বিষয়ও আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
২. ব্যাবসা বা চাকরির বর্তমান অবস্থার অস্পষ্টতা:
চাকরী বা ব্যাবসার বর্তমান অবস্থার তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই যখন এই বিষয়ে কোন তথ্যের ঘাটতি দেখা দিবে, তখন ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। যদি ব্যাসায়ী হন তবে, আপনার কোম্পানির আয়তন, বাৎসরিক রেভেন্যু বা আয়, ভ্যাট-ট্যাক্স ও ট্যাক্স রিটার্ন সহ বিভিন্ন জিনিসের হিসাব চাওয়া হবে। যদি চাকরিজীবি হন তবে, আপনার ডেজিগন্যাশন বা পদ, মাসিক বেতন, স্যালারি রেঞ্জ, পার্সোনাল ট্যাক্স ও রিটার্ন প্যাপার সহ আরো কিছু কাগজপত্র চাওয়া হতে পারে।
৩. কাগজপত্র ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মিল না থাকা:
কেন আপনি একটি দেশে ভ্রমণ করতে চান তার যথাযথ কারণ আপনার ভিসা অফিসারকে জানাতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের সাথে লেটার অব পারপাস দিতে হয়। কেবল ভ্রমণের সঠিক উদ্দেশ্য উল্লিখিত না থাকায় প্রতি বছরই অসংখ্য ভিসা রিজেক্ট হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে দেয়ার জন্য সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ভ্রমণ উদ্দেশ্য নির্ণয় করার জন্য এম্বেসিগুলো থেকে যে সমস্ত ডকুমেন্ট চওয়া হয় সেগুলোতে সামঞ্জস্য থাকা অপরিহার্য। উদাহরনস্বরূপ: কেউ ভারতের মেডিকেল ভিসা নিতে ইচ্ছুক, এখন সে তার কিডনির চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসার আবেদন করলো, কিন্তু সে প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ সুস্থ, এখন তার ল্যাব রিপোর্ট ও ভিসা আবেদনের মধ্যে যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিবে তার কারণে তার ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যাবে।
৪. অন্যান্য কারণ সমূহ:
ভিসা রিজেক্টের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে তথ্যের অভাব, ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে না হওয়া, ভুল তথ্য প্রদান, কগজ পত্রের জালিয়াতি, ইনভাইটার না থাকা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ভিসা নিয়ে কেউ যদি কোন কোন প্রকার তথ্য জানতে চান অথবা কোন নির্দিষ্ট দেশের ভিসা প্রসেস করতে চান, তাহলে, ট্যুরন্তের সহায়তা নিতে পারেন।